বগুড়ার শেরপুর পৌর শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় রাস্তা ও ড্রেন দখল করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা এবং লোহার রড দিয়ে প্রতিবন্ধকতা তৈরির অভিযোগ উঠেছে। এতে সাধারণ মানুষের চলাচলে চরম বিঘ্ন ঘটছে এবং জনমনে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন ডক্টরস কমপ্লেক্স মার্কেটের সামনের রাস্তায় অবৈধভাবে লোহার বেষ্টনী দেওয়ায় রিকশা বা যানবাহন চলাচল প্রায় বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। রোববার দুপুরে সরে জমিনে পৌর শহরের শেরপুর বাস্ট্যান্ড মার্কেটের সামনে এই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ বিরাজ করছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, শেরপুর বাসস্ট্যান্ড ডক্টরস কমপ্লেক্স মার্কেটের সামনে রাস্তার একটি বড় অংশ দখল করে লোহার রড দিয়ে স্থায়ী ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। ফলে ওই এলাকায় জনদুর্ভোগ নিত্যসঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে। মার্কেটে আসা ক্রেতা সোলাইমান হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এখানে কেনাকাটা করতে এলে রিকশা নিয়ে ঢোকা তো দূরের কথা, দাঁড়িয়ে থাকার মতো জায়গাও নেই। রাস্তার ড্রেন এবং মূল সড়কের একাংশ ব্যবসায়ী ও মার্কেট কর্তৃপক্ষ দখল করে নিয়েছে।
একই অভিযোগ করেন আকবর আলী নামে এক পথচারী। তিনি জানান, বাসস্ট্যান্ড এলাকার 'আল্লাহর দান' হোটেলের সামনেও রাস্তা দখল করে দোকান বসানো হয়েছে, যা সাধারণ মানুষের চলাচলের পথকে সংকুচিত করে ফেলেছে।
রাস্তা দখলের বিষয়ে ডক্টরস কমপ্লেক্স মার্কেটের মালিক ডা. আহমেদ আব্দুল্লাহ জামি বলেন, আমরা ব্যক্তিগতভাবে কোনো প্রতিবন্ধকতা তৈরি করিনি। মার্কেটের দোকানদার হাসান ও মজনু এই ব্যারিকেড দিয়েছেন। আমি তাদের দ্রুত এসব সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছি। তবে তিনি পাল্টা অভিযোগ তুলে বলেন, রাস্তার অপর পাশেও অবৈধ দোকান বসিয়ে দখল করা হয়েছে, যার প্রতিক্রিয়ায় দোকানদারা এসব করেছে। তিনি পুরো পৌর এলাকায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে কর্তৃপক্ষের কঠোর হস্তক্ষেপ দাবি করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পৌর প্রশাসক ও শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জানান, সড়ক বা ড্রেন দখল করে জনভোগান্তি সৃষ্টির কোনো সুযোগ নেই। জনস্বার্থে খুব দ্রুত এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।.
Ajker Bogura / আব্দুল ওয়াদুদ
আপনার মতামত লিখুন: