এক ম্যাচের দাপুটে জয়ের পর আত্মবিশ্বাসে ভরপুর রাজশাহী ওয়ারিয়র্সকে দ্বিতীয় ম্যাচেই থামিয়ে দিল ঢাকা ক্যাপিটালস। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ১৩৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করে ৭ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটের জয় তুলে নেয় ঢাকা।.
সিলেট টাইটান্সের বিপক্ষে উদ্বোধনী ম্যাচে ১৯১ রানের লক্ষ্য অনায়াসে তাড়া করে রাজশাহীর ব্যাটিং ইউনিটকে খুব একটা পরীক্ষায় পড়তে হয়নি। তবে ঢাকার বিপক্ষে পরিস্থিতি ছিল ভিন্ন। শুরু থেকেই চাপের মুখে পড়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে মাত্র ১৩২ রানেই থামে রাজশাহী।.
প্রথম বলেই ওপেনার সাহিবজাদা ফারহানকে হারিয়ে বিপাকে পড়ে দলটি। ইমাদ ওয়াসিমের বলে স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার হন তিনি। এরপর তানজিদ হাসান তামিম ও অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত কিছুটা স্থিতি আনলেও বড় ইনিংস গড়তে পারেননি কেউই। তানজিদ ১৫ বলে ২০ রান করে বিদায় নেন, আর শান্ত করেন ৩৭ রান (২৮ বল), যা ছিল রাজশাহীর সর্বোচ্চ।.
মধ্যক্রম পুরোপুরি ব্যর্থ হয়। ইয়াসির আলী, মেহরব ও মুশফিকুর রহিম কেউই ইনিংসের গতি বাড়াতে পারেননি। মুশফিক ২৩ বলে ২৪ রান করে আউট হন। শেষ দিকে মোহাম্মদ নাওয়াজ ২৬ বলে অপরাজিত ২৬ রান করলেও তা দলকে বড় সংগ্রহ এনে দিতে পারেনি।.
ঢাকার বোলিং আক্রমণে সবচেয়ে সফল ছিলেন ইমাদ ওয়াসিম। ৪ ওভারে মাত্র ১৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন তিনি। নাসির হোসেন পান ২টি উইকেট। এছাড়া সালমান মির্জা, জিয়াউর রহমান ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন একটি করে উইকেট শিকার করেন।.
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ঢাকাও খুব স্বস্তিতে ছিল না। ছোট লক্ষ্য হলেও নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় দলটি। তবে আবদুল্লাহ আল মামুনের দায়িত্বশীল ইনিংস ম্যাচের ভিত গড়ে দেয়। তিনি ৩৯ বলে ৪৫ রান করেন, যেখানে ছিল ৪টি চার ও একটি ছয়।.
শেষদিকে সাব্বির রহমান ও শামিম হোসেন ছোট কিন্তু কার্যকর দুটি ইনিংস খেলেন। সাব্বির ১০ বলে ২১ এবং শামিম ১৩ বলে ১৭ রান করেন। ১৭ ও ১৮তম ওভারে দ্রুত রান তুলে ম্যাচ ঢাকার দিকে নিয়ে যান তারা। ১৯তম ওভারের পঞ্চম বলে ছক্কা হাঁকিয়ে জয় নিশ্চিত করেন সাব্বির।.
এই জয়টি ঢাকার জন্য ছিল আবেগঘন। ম্যাচের আগে অনুশীলন চলাকালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে নেওয়ার পথে সহকারী কোচ মাহবুব আলী জাকি মৃত্যুবরণ করেন। সতীর্থদের মতে, এই জয় তার প্রতি শ্রদ্ধা হিসেবেই উৎসর্গ করা হয়েছে।. .
Ajker Bogura / মো. সাইমুম জাহান
আপনার মতামত লিখুন: